নিউজ ডেস্ক:
জামায়াতে ইসলামীর নেতা মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী, মুহাম্মদ কামারুজ্জামান, মীর কাসেম আলী ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীকে একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের ‘মিথ্যা’ মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শনিবার (২৫ অক্টবর) শিল্পকলা একাডেমিতে এক অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ আমলে নিপীড়নের চিত্র তুলে ধরতে গিয়ে এ মন্তব্য করেন তিনি।
শেখ হাসিনার শাসনকাল নিয়ে তিনি বলেন, ‘বিএনপির ২০ হাজারের ওপর মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। বিএনপির সাবেক নেতা ইলিয়াস আলীসহ প্রায় ১ হাজার ৭০০ নেতা–কর্মীকে গুম করে দেওয়া হয়েছে। আলেম–ওলামা, জামায়াতে ইসলামীর নেতারা, মাওলানা কামারুজ্জামান, মীর কাসেম আলী, সালাউদ্দিন কাদেরসহ তাদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে মিথ্যা মামলায়।’
অনুষ্ঠানে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে সবার ঐক্যের মধ্য দিয়ে একটি গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টির আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সংস্কার সনদে স্বাক্ষর করা দলগুলোর ঐক্যের মাধ্যমে আমরা একটি গ্রহণযোগ্য, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করতে চাই। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে সবাইকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছি। ছোটখাটো সমস্যা দূরে রেখে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে ফিরিয়ে আনতে সব রাজনৈতিক দলকে আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানাই।’
তিনি বলেন, ‘১৯৭৫ সালের বাকশাল শাসনের সময় সংবাদপত্রের স্বাধীনতা হরণের দুঃসময়। তখন সাংবাদিকেরা বেকার হয়েছিলেন, অনেকে রাস্তায় হকারি করেছেন। পরে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানই সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ফিরিয়ে আনেন, বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেন।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এই দেশবাসী একটি স্বাধীন ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ চায়। এমন বাংলাদেশ, যা কোনো বিদেশি শক্তির নিয়ন্ত্রণে নয়, জনগণের ইচ্ছায় পরিচালিত হবে।
প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় যাওয়ার পর একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার শুরু করে। সেই বিচারে জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের পাশাপাশি সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল কামারুজ্জামান, কেন্দ্রীয় নেতা মীর কাসেম আলী, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যের মৃত্যুদণ্ড হয়। ফাঁসিতে ঝুলিয়ে তদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।