নিউজ ডেস্ক:
রাঙামাটি জেলা অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়ন ও রাঙামাটি বেবিট্যাক্সি চালক কল্যাণ সমিতির মৃত সদস্যদের পরিবারের নিকট মৃত্যু তহবিলের টাকা ও নতুন সদস্যদের সদস্য পদ প্রদান করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় রাঙামাটি চেম্বার অব কমার্স ভবনের হল রুমে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, রাঙামাটি ২৯৯নং আসনে বিএনপির ধানের শীষের মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট দীপেন দেওয়ান।
এসময় বিশেষ অতিথি ছিলেন, বিএনপির সহ সভাপতি ও রাঙামাটি আইনজীবী ফোরামের সভাপতি অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম পনির, রাঙামাটি জেলা বিএনপির উপদেষ্টা মো. রফিকুল ইসলাম, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মামুনুর রশিদ মামুন, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সাইফুল ইসলাম শাকিল, সহ সাধারণ সম্পাদক মো. আলী আকবর, রাঙামাটি সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রণেল দেওয়ান, রাঙামাটি জেলা অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের বেবিট্যাক্সি চালক কল্যাণ সমিতির উপদেষ্টা শামশুল আলম ও রাঙামাটি হোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইউসুফ চৌধুরী।
রাঙামাটি জেলা অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়ন ও রাঙামাটি বেবিট্যাক্সি চালক কল্যাণ সমিতির সহ সভাপতি মো. আবুল কালাম এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো. মিজানুর রহমান বাবুর সঞ্চালনায় এসময় সমিতির মৃত্যুবরণকারী সদস্যদের পরিবার ও অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিতি ছিলেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে ২৯৯নং আসনে বিএনপির ধানের শীষের মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট দীপেন দেওয়ান কে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন সমিতির সদস্যরা।
পরে মৃত্যুবরণকারী ৪জন অটোরিকশা শ্রমিক পরিবারের সদস্যদের মাঝে নগদ ৪লক্ষ টাকা প্রদান করা হয়। পাশাপাশি নতুন ৪জন সদস্য কে সদস্য পদ প্রদান করা হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অ্যাডভোকেট দীপেন দেওয়ান বলেন, রাঙামাটির সিএনজি চালক সমিতি একটি ঐতিহ্যবাহী সংগঠন। পর্যটন শহরে সিএনজি চালকরা একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাদের মাধ্যমে পর্যটকরা এলাকা সম্পর্কে ভালো ধারণা পায়। আপনাদের কার্যক্রম আমার ভালো লেগেছে। ধানের শীষের প্রতীকে আমাকে নির্বাচিত করলে আমি আপনাদের উন্নয়নে সর্বাত্মক সহযোগিতা করব।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, রাঙামাটির অন্যতম ঐতিহ্যবাহী সংগঠন রাঙামাটি বেবিট্যাক্সি চালক কল্যাণ সমিতি। বিগত সময়ে বিভিন্ন কারণে চালক সমিতির ঐক্য বিনষ্ট হয়েছে। এখন চালকদের মধ্যে ঐক্য ফিরে এসেছে। অনেক সিএনজি ও চালক বেড়ে গেছে। নতুন সিএনজি রেজিষ্ট্রেশন দেওয়ার ব্যাপারে একটা নীতিমালা তৈরী করতে হবে।
বক্তারা আরো বলেন, সমিতির সদস্যদের ছেলে মেয়েদের পড়ালেখায় যেন কোন সমস্যা না হয় সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে। মৃত্যু তহবিলের টাকা গুলো আরো দ্রুত সময়ে পেলে সদস্যদের পরিবার আরো উপকৃত হবে বলেও যোগ করেন বক্তারা।